সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
হেলালুদ্দীন আহমদসচিব
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
ঢাকা॥ বাংলাদেশ
02-55007600
helal4558@gmail.com
|
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত সচিব জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ৩০ জুলাই ২০১৭ তারিখে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ৩০ মে ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি ২৩ মে ১৯৬৩ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের Duke University হতে ওরিয়েন্টেশন ডিগ্রি অর্জন করেন।
জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ (আইডি নং-৪৫৫৮) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এর কার্যালয়ে যোগদানপূর্বক কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বান্দরবানের রুমা ও লামা উপজেলায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় এবং নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উপসচিব, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে ২০০৯ সালের মার্চ হতে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় কাজ করেছেন। এরপর Bangladesh Overseas Employment and Services Limited (BOESL) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মাঠ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ বিভাগীয় কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন; রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার পদে তিন বছর এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার পদে প্রায় দেড় বছর দায়িত্বরত ছিলেন। অত:পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রথমে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সচিব পদে যোগদানপূর্বক কর্মরত রয়েছেন।
চাকুরিতে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিসিএস মিলিটারি ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং (বিএমএ) কোর্স, ফাউন্ডেশন কোর্স, আইন ও প্রশাসন কোর্স, ভুমি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবেলায় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, ম্যানেজিং অ্যাট দ্য টপ-২, প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা প্রোগ্রাম, ইউনিভার্সালাইজেশন অব প্রাইমারি এডুকেশন ইত্যাদি।
প্রশিক্ষণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নেপালসহ তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
চাকুরি ছাড়াও তিনি সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি বর্তমানে বিসিএস ’৮৫ ফোরামের সহ-সভাপতি, এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকাস্থ রামু সমিতির উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালে “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বাত্নক অভিযান পরিচালনায় পরিকল্পনা, নেতৃত্বদান ও সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাকে শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনারের পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও ভুমি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৬ এর জুলাই মাসে তিনি শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে “Public Service Innovation” পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার জনক। তিনি জনকল্যাণমুখী সরকারি কর্মকর্তা, জনসাধারণকে সেবা করাই তার মূল লক্ষ্য। দীর্ঘ চাকুরি জীবনে তিনি সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও প্রগতিশীলতার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
-----------